Friday, December 6, 2024

ঃ এবং ঁ

সংস্কৃত বর্ণে বিসর্গের (ঃ) উচ্চারণ ছিল হ্ ধ্বনির মতো। বিসর্গের এরকম উচ্চারণ বাংলায় এখনো চালু আছে। যেমন-আঃ (আহ), উঃ (উহ্), ওঃ (ওহ্)। এছাড়া, শব্দের শেষে বিসর্গ থাকলে (বাংলায় আজকাল শব্দের শেষে বিসর্গ ব্যবহার করা হয় না) তার উচ্চরণ না হলেও শেষের অ-কারের উচ্চারণ ও-কারের মতো হয় :
আপাততঃ (আপাততো), প্রথমতঃ (প্রোথোমতো), মূলতঃ (মূলোতো), ক্রমশঃ (ক্রোমোশো)। পদের মধ্যে বিসর্গ থাকলে ঐ বিসর্গ পরবর্তী ব্যঞ্জনকে দ্বিত্ব করে দেয় :
অধঃপতন (অধোপ্পতোন), নিঃশেষ (নিশ্শেষ), দুঃসময় (দুশ্শময়), অতঃপর (অতোপ্পর)।

চন্দ্রবিন্দু বাংলা বর্ণমালার একটি চিহ্ন, বর্ণ নয়। বাংলায় স্বরধ্বনির আনুনাসিক প্রতীক হল চন্দ্রবিন্দু। বাংরায় সাতটি মৌলিক স্বরধ্বনিকে আনুনাসিক উচ্চারণ করার জন্য চন্দ্রবিন্দু ব্যবহৃত হয়।
কাঁদা (আঁ)
গোঁড়া (ওঁ)
চাঁদ (আঁ)
কুঁড়ি (ইঁ)
এঁরা (এঁ)
ফোঁটা (ওঁ)
তাঁর (আঁ)

Related Articles

Latest Articles