প্র : বাংলাভাষায় সাধারণত কোন কোন ভাষা থেকে অনুবাদ করা হয়েছে?
উ : সংস্কৃত, হিন্দি. আরবি, ফার্সি।
প্র : বাংলা সাহিত্যে অনুবাদ কখন থেকে শুরু হয় ?
উ : মধ্যযুগে অনুবাদ শুরু হয়।
প্র : কাদের সহযোগিতায় অনুবাদ শুরু হয়েছিল ?
উ : রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজদরবারে অনুবাদ শুরু হয়। প্রধানত মহাকাব্য থেকেই অনুবাদ শুরু হয়।
প্র : প্রথম অনুবাদ শুরু হয় কোন রাজার আমলে? এবং কি অনুবাদ হয় ?
উ : ১৪৭২-৭৩ সালে সুলতান রুকনউদ্দীন বারবক শাহের আমলে তাঁর কর্মচারি গুণরাজ খান মালাধর বসু ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’ নামে ভাগবতের অনুবাদ করেন।
প্র : মধ্যযুগে প্রধানত কোন কোন কাব্য অনুদিত হয়েছিল :
উ : রামায়ন ও মহাভরত।
প্র : মুসলমান রাজারা রামায়ন মহাভরত অনুবাদে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন কেন ?
উ : হিন্দু প্রজাদের আস্থা অর্জন করার জন্য।
প্র : রামায়ণ প্রথম কে অনুবাদ করেন ?
উ : কৃত্তিবাস।
প্র : কে কে রামায়ণের অনুবাদ করেন ?
উ : কৃত্তিবাস, অদ্বুতাচার্য, চন্দ্রাবতী, দ্বিজ গঙ্গা-নারয়ণ, ঘনশ্যামদাস, ভবানি দাস, দ্বিলক্ষণ, রামশঙ্কর, কৈলাস বসু, ষষ্ঠীবর সেন, শিবচন্দ্র সেন, রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় রঘুনন্দন গোস্বামী প্রমূখ।
প্র : মহাভারতের প্রথম অনুবাদ কে করেন ?
উ : কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
প্র : কোন কোন ব্যক্তি মহাভারতের অনুবাদ করেন ?
উ : কবীন্দ্রপরমেশ্বের, শ্রীকর নন্দী, সঞ্জয়, রামচন্দ্র খান, দ্বিজ রঘুনাথ, কামীরাম দাস, দ্বিজ অভিরাম, নিত্যানন্দ ঘোষ, দ্বৈপায়ন দাস, কৃষ্ণরাম প্রমূখ।
প্র : রামায়ণের রচয়িতা কে ?
উ : বাল্মীকি।
প্র : মহাভরেতর রচয়িতা কে ?
উ : কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস।
প্র : ‘কৃষ্ণকর্ণামৃত’ কে অনুবাদ করেন ?
উ : যদুনন্দন দাস।
প্র : ‘বিদ্যাসুন্দর’ কে অনুবাদ করেন ?
উ : দ্বিজ শ্রীধর ও সাবিরিদ খান
প্র : ‘নবীবংশ’ কে অনুবাদ করেন ?
উ : সৈয়দ সুলতান।
প্র : নবীবংশের মূল রচয়িতা কে এবং গ্রন্থের নাম কি ?
উ : মুল রচয়িতা স‘লবা এবং গ্রন্থের নাম কিসাসুল আম্বিয়া।
প্র : ‘ইউসুফ-জোলেখা’ বাংলায় অনুবাদ করেন কে ?
উ : ইউসুফ-জোলেখার অনুবাদ করেন তিনজন। এঁরা হলেন শাহ মুহম্মদ সগীর, আবদুল হাকিম ও ফকির গরিবুল্লাহ।
প্র : ইউসুফ-জোলেখার মূল লেখকের নাম কি ?
উ : জামি এবং মূল গ্রন্থের নাম ইউসুফ ওয়া জুলেখা।
প্র : লায়লী-মজনু কে অনুবাদ করেছেন ?
উ : দৌত উজির বাহরাম খান এবং মুহম্মদ হাতেম।
প্র : মঙ্গলকাব্য কি ?
উ : দেবদেবীর মাহাত্ম্যবাচক কাব্য যার বিষয়বস্তু দেবতার স্তুতি এবং যা পাঠ করলে, শ্রবণ করলে বা রচনা করলে পুণ্য হয় বলে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল। মধ্যযুগের সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি বিশেষ ধারা। বহু কবি এই ধারার কাব্য রচনা করেছেন। পঞ্চদশ থেকে অষ্টাদশ শতকের শেষ অবধি এই কাব্যের সময়কাল।