প্র : অমিয় চক্রবর্তীর জন্ম কোথায় ?
উ : শ্রীরামপুর, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ।
প্র : তাঁর জন্ম তারিখ কত?
উ : ১০ই এপ্রিল, ১৯০১।
প্র : তাঁর পিতার নাম কী?
উ : দ্বিজেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
প্র : তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী?
উ : পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ; দর্শন ও সাহিত্যে এম.এ. রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. ফিল. ডিগ্রি লাভ করেন।
প্র : তাঁর পেশা কী ছিল ?
উ : অধ্যাপনা।
প্র : তিনি মূলত কী ছিলেন?
উ : একজন শীর্ষস্থানীয় আধুনিক কবি।
প্র : কাদের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল?
উ : কবি ইয়েটস, জর্জ বার্নাডশ, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবার্ট ফ্রস্ট, আলবার্ট সোয়ইটজর প্রমুখ বিশ্ববরেণ্য মনীষীর সঙ্গে।
প্র : তিনি কোন সময়ের কবি ছিলেন?
উ : ত্রিশের দশকের।
প্র : বাংলা কাব্যের ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থান কোথায়?
উ : রবীন্দ্র প্রভাবিত কাব্য-বলয়ের বাইরে।
প্র : রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত ছিলেন?
উ : তিনি রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব ছিরেন এবং তাঁর সঙ্গে বহুদেশ ভ্রমণ করেছেন।
প্র : কবিতা ছাড়াও কিসে তাঁর পরিচিতি লাভ হয়?
উ : গদ্যশিল্পী হিসেবে।
প্র : তাঁর প্রকাশিত বিশেষ কাব্যগ্রন্থগুলো কী?
উ : ‘খসড়া’ (১৯৩৮); ‘এক মুঠে’ (১৯৩৯); ‘মাটির দেয়াল’ (১৯৪২); ‘অভিজ্ঞান বসন্ত’ (১৯৫০), ‘অনিঃষেশ’ (১৯৭৬) ইত্যাদি।
প্র : তাঁর গদ্যরচনাগুলো কী?
উ : ‘চলো যাই’; ‘সাম্প্রতিক’; ‘পুরবাসী’; ‘পথ অন্তহীন’ ইত্যাদি।
প্র : ‘এক মুঠো’ কাব্যগ্রন্থের পরিচয় দাও ।
উ : অমিয় চক্রবর্তীর ‘এক মুঠো’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৯ সালে। বিশ শতকের বিজ্ঞানের যুগে ব্যবহারিক জীবনে যেমন জটিলতা বাড়ছে, মানুষের মনেও তেমনি চিন্তার জটিলতা বসৃষ্টি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চেতনায় যুগধর্মের এই বৈশিষ্ট্য খুব উজ্জ্বলভাবে প্রতিভাত হয়েছে এই কাব্যে। কবি এখানে সময়কে বিবেচনায় এনে এই সময়গত মানব-মানবীয় অন্তর্গত সুখ ও সমস্যা ধরার চেষ্টা করেছেন।
প্র : ‘বাংলাদেশ’ কবিতাটি তিনি কোন প্রেক্ষাপটে রচনা করেন?
উ : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লঅভ করেন ?
উ : ‘ইউনেস্কো পুরস্কার’ (১৯৬০), ‘ভারতীয় ন্যাশনাল একাডেমি পুরস্কার’, ভারত সরকার কর্তৃক ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি (১৯৭০) প্রাপ্ত।
প্র : কতসালে তাঁর মৃত্যু হয় ?
উ : ১৯৮৬ সালে।