(i) আরবি-ফারসি শব্দের মূলে সে, সিন সোয়দ থাকলে তার পরিবর্তে দস্ত-স ব্যবহৃত হবে। যেমন: ইসলাম, কিসমত, সদর, সনদ, সালাত, হিসাব, সুরকি, সরকার, খাস, গোসল, রসুল, সাহাবি, মিসকিন, খানসামা, লোকসান ইত্যাদি।
(ii) আরবি-ফারসি শব্দের বানানে শিন থাকলে তার পরিবর্তে বাংলায় তালব্য শ হবে। যেমন: তালাশ, শিকার, শহর, খোশ, আয়েশ, তহশিল, মুনশি, পোশাক, ইশারা, মশগুল, রেশম, মালিশ, তামাশা, নাশতা, নিশান, পশম ইত্যাদি।
(iii) ইংরেজি বানানের ঝ ও ঈ এর উচ্চারণ স হলে বাংলায় তার স্থানে দন্ত-স হবে। যেমন: সাইজ, পাসপোর্ট, সাইরেন, সিরিজ, প্রফেসর, সিলেবাস, কেরোসিন, অফিসার, সেলুন, সোডা, রিসিভার, প্যাসেন্জার ইত্যাদি।
(iv) ইংরেজি শব্দের শেষে পরধষ, পরধহ, পরবহঃ-এ প-এর উচ্চারণ তালব্য-শ হলে অথবা শব্দের শেষে পবধহ, ংরড়হ, ংংরড়হ, ঃরড়হ অংশে উচ্চারণ শন এর মত হলে বা শব্দের শেষে পয, ং, বা ংয-এর উচ্চারণ তালব্য-শ এর মত হলে বাংলা বানানে তালব্য-শ হবে। যেমন: অ্যাকশন, কোটেশন, ইনজেকশন, ট্যাডিশন, ডিসিশন, পজেশন, বারিশ, ফ্যাশন, শক, সেকশন, শেয়ার, পাবলিশার, রেশন, শেলক ইত্যাদি।
(v) ইংরেজি বানানে ংঃ থাকলে বাংলায় সেখানে স্ট হবে। যেমন: স্ট্যাচু, স্টেশন, টাইপিস্ট, মাস্টার, স্টেডিয়াম, পোস্টমাস্টার ইত্যাদি।