প্র : আশরাফ সিদ্দিকী কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৯২৭ সালের ১লা মার্চ; টাঙ্গাইলের নাগবাড়ি নামক স্থানে।
প্র : তিনি মূলত কী হিসেবে পরিচিত?
উ : লোক সাহিত্য-সংস্কৃতিবিদ হিসেবে।
প্র : তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম ও ধরন কী?
উ : তালেব মাস্টার ও অন্যান্য কবিতা (১৯৫০); কাব্যগ্রন্থ।
প্র : তাঁর লোকসাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক গ্রন্থাবলির নাম কী?
উ : লোকসাহিত্য (১৯৬৪), কিংবদন্তীর বাংলা (১৯৭৫), শুভ নববর্ষ (১৯৭৭), লোকায়ত বাংলা (১৯৭৮), আবহমান বাংলা (১৯৮৭)।
প্র : আশরাফ সিদ্দিকীর অন্যান্য গ্রন্থের নাম কী?
উ : কাব্যগ্রন্থ: সাতভাই চম্পা (১৯৫৩), বিষকন্যা (১৯৫৫), বৃক্ষ দাও: ছায়া দাও (১৯৮৪), দাঁড়াও পথিক বর (১৯৯০), সহস্র মুখের ভীড়ে (১৯৯৭); গল্পগ্রন্থ: রাবেয়া আপা (১৯৬৫), গলির ধারের ছেলেটি (১৯৮১), শেষ নালিশ (১৯৯২); উপন্যাস গ্রন্থ: শেষ কথা কে বলবে (১৯৮০), আরশিনগর (১৯৮৮), গুণীন (১৯৮৯)।
প্র : ‘নতুন কবিতা’ সংকলন সম্পর্কে লেখ।
উ : আবদুর রশীদ খান ও আশরাফ সিদ্দিকী যৌথভাবে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি কবিদের প্রথম সংকলন ‘নতুন কবিতা’ সম্পাদনা করেন। সংকলনটি প্রকাশিত হয় ১৩৫৬ বঙ্গাব্দ অর্থাৎ ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে। এতে লিখেছেন: হাবীবুর রহমান, হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবদুর রশীদ খান, আশরাফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ মামুন, বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, মনোজ সেনগুপ্তসহ তেরোজন কবি। সম্পাদকগণ দাবি করেছিলেন যে, সংকলনটি হবে ‘সাহিত্য পথের নতুন যাত্রীদের কাব্য সৃষ্টির খতিয়ান’। কিন্তু উত্তরকাল দেখা গেছে এঁদের মধ্যে অধিকাংশই কবি হতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, অনেকে কবিতা লিখলেও স্বাচ্ছন্দ্য হারিয়েছেন।
প্র : তাঁর কোন সাহিত্যকর্ম নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে?
উ : গলির ধারের ছেলেটি।
প্র : চলচ্চিত্রটির নাম?
উ : ডুমুরের ফুল।