বিশেষ্য ও বিশেষণের সাথে স্ত্রীবাচক ঈ প্রত্যয় যোগে সংস্কৃত শব্দকে স্ত্রীবাচক শব্দে পরিণত করা হয়। যার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ, এসব সব সময় নারী বা পুরুষকে নির্দেশ করে না।
যেমন: অবোধমুখ, ভয়ংকর, ম-ল, সংশোধন এর সাথে ঈ প্রত্যয় যোগে হয়েছে অধোমুখী, ভয়ংকরী, ম-লী, সংশোধনী। এর আসলে কোন দরকার নেই। ইভা ভয়ংকরী মেয়ে না বলে ইভা ভয়ংকর মেয়ে বললে কোন ক্ষতি নেই।
আরো উদাহরণ: চঞ্চল > চঞ্চলা, নিষ্ফল > নিষ্ফলা, ভীষণ > ভীষণা, কুরূপ > কুরূপা, অনাথ > অনাথা, অর্থকর > অর্থকরী ইত্যাদি।
কতকগুলো বিবেচ্য পদকেই প্রত্যয় যোগে পুরুষবাচক শব্দে পরিণত করা হয়, আবার সেই শব্দকেই ইন + ইনী যোগে স্ত্রীবাচক করা হয়। যেমন:
অভিমান > অভিমানী > অভিমানিনী
বিরহ > বিরহী > বিরহিনী
সহপাঠ > সহপাঠী > সহপাঠিনী
অপরাধ > অপরাধী > অপরাধিনী
দুঃখ > দুঃখী > দুঃখিনী
তৎসম শব্দ পুরুষবাচক শব্দের সাথে প্রত্যয় যোগ করে স্ত্রীবাচক শব্দ করা হয়। এই সমস্ত শব্দে আবার নতুন করে স্ত্রী প্রত্যয় যোগ করা হয়, যা সঠিক নয়। যেমন: অভাগী > অভাগিনী, চাতকী > চাতকিনী, পিশাচী > পিশাচিনী। এখানে অভাগী, চাতকী, পিশাচী স্ত্রীবাচক শব্দ।
সংস্কৃতে আ প্রত্যয় যোগে স্ত্রীবাচক শব্দ গঠিত হয়। অনাথা, সুকেশা, সুনয়না। বাংলায় এই স্ত্রীবাচক শব্দকে নতুন করে ইনি বা ইনী প্রত্যয় যোগে স্ত্রীবাচক শব্দে রূপান্তর করা হয়। যার কোন প্রয়োজন ছিল না। তবু, বাংলায় তা প্রচলিত হয়ে গেছে বলে সঠিক ধরা হয়।
অনাথা > অনাথিনী, সুকেশা > সুকেশিনী, সুনয়না > সুনয়নী ইত্যাদি।