অগস্ট | ডিশ | মুশকিল | শিয়া |
অর্সা, অর্সানো | তালাশ | ম্যাজিস্ট্রেট | শিরনি |
আতশ | তামাশা | রেজিস্টারী | শুরু |
আদমশুমার | তোশক | লশকর | শুরুয়া |
আপস | তোশাখানা | লাশ | শেমিজ |
আফসোস, আপ | দুশমন | শখ | শোরগোল |
আয়েশ | নকশা | শয়তান | শোরা |
আশকরা | নালিশ | শরবত | শোহরত |
আশনাই | নাশপাতি | শরম | শৌখিন, খী |
আশরফি | নোটিস | শরিক | সপ |
আসমান | পোস্ট | শর্ত | সরপোশ |
ইশকাপন | ফরমাশ | শহর | সাজস |
ইশাদী | ফরাশ | শহির্দ, শহীদ | সাদা |
ইশারা | বকশিশ | শাগরেদ | সালিস |
কনস্টেবল | বদমাশ | শাদি | সিক |
কিশমিশ | বারকোশ | শাবাশ | সুপারিশ |
কুর্নিশ | বালাপোশ | শামলা | স্টীমার |
ক্লাস | বিস্কুট | শামিয়ানা | স্টেশন |
খরগোশ | বুরুশ | শামিল | স্ট্যাম্প |
খুশি/খুশী | বেহুঁশ | শায়েস্তা | স্ট্রীট |
খোশ | ব্যারিস্টার | শার্ট | হামেশা |
খোশামোদ | মশগুল | শালগম | হিস্টিরিয়া |
চশমা | মাসুল | শার্সি | হুঁশ |
জিনিস | মুনশী | শাহানা | হুঁশিয়ার, হু |
বিদেশী শব্দ s ধ্বনির জন্য ছ অক্ষর বর্জনীয়। কিন্তু যেখানে প্রচলিত বাংলা বানানে ছ আছে এবং উচ্চারণেও ছ হয়, সেখানে প্রচলিত বানানই বজায় থাকবে, যথা- ‘কেচ্ছা [কিস্সা], ছয়লাপ [সইল-অব], তছরুপ [তর্সরুপ], পছন্দ [পসন্দ্]’ ইত্যাদি।
ক্রিয়াপদ। সাধু ও চলিত প্রয়োগে কৃদন্তরূপে ‘করান, পাঠান’ প্রভৃতি অথবা বিকল্পে ‘করানো, পাঠানো’ প্রভৃতি বিধেয়। চলিত ভাষায় নাম বিভক্তি স্থানে বিকল্পে লুম বা-লেম লেখা যাইতে পারে। ক্রিয়াপদের বানানের জন্য পরিশিষ্ট ঙ দ্রষ্টব্য।
কতকগুলি সাধু শব্দের চলিত রূপ। -‘কুয়া, সূতা, মিছা, উঠান, উনান, পুরানো, পিছন, পিতল, ভিতর, উপর’ প্রভৃতি কতকগুলি সাধু শব্দের মৌখিক রূপ কলিকাতা অঞ্চলে অন্য প্রকার। যে শব্দের মৌখিক বিকৃতি আদ্য অক্ষরে (যথা ‘পেছন, ভেতর’), তাহার সাধু রূপই চলিত ভাষায় গ্রহণীয়, যথা- ‘পিছন, পিতল, ভিতর, উপর’। যাহার বিকৃতি মধ্য বা শেষ অক্ষরে, তাহার চলিত রূপ মৌখিক রূপের অনুযায়ী করা বিধেয়, যথা- ‘কুয়ো, সুতো, মিছে, উঠন, উনন, পুরনো’।