প্র : কাজী ইমদাদুল হকের জন্ম কবে, কোথায়?
উ : ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর, খুলনায়।
প্র : তিনি কবে, কোথায় কর্মজীবন আরম্ভ করেন?
উ : ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘ঢাকা মাদ্রাসা’র শিক্ষক হিসেবে।
প্র : তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লেখ।
উ : উপন্যাস: ‘আবদুল্লাহ্’ (১৯৩৩); কাব্য: ‘আঁখিজল’ ও ‘লতিকা’; প্রবন্ধ: ‘প্রবন্ধমালা’; শিশুতোষগ্রন্থ: ‘নবীকাহিনী’।
প্র : তিনি কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উ : ‘শিক্ষক’ পত্রিকার (১৯২০)।
প্র : ‘আবদুল্লাহ্’ উপন্যাসটি কোন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়?
উ : মোস্লেম ভারত।
প্র : ‘আবদুল্লাহ্’ উপন্যাসের পরিচয় দাও।
উ : কাজী ইমদাদুল হকের এই বিখ্যাত উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৩৩ সালে। কাজী ইমদাদুল হকের মৃত্যু হলে অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদির ইমদাদুল হকের খসড়া অবলম্বনে অসমাপ্ত উপন্যাসটির ১১টি পরিচ্ছেদ রচনা করেন। উপন্যাসটিতে চিত্রিত হয়েছে গ্রামীণ মুসলিম সমাজের পিরভক্তি, ধর্মীয় কুসংস্কার, পর্দাপ্রথা, আশরাফ-আতরাফ বৈষম্য, হীন স্বার্থপরতা, সম্প্রদায়বিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মানবতাবাদী প্রতিবাদ। বইটি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: ‘আবদুল্লাহ্ বইটি পড়ে আমি খুশি হয়েছি বিশেষ কারণে, এই বই থেকে মুসলমানের ঘরের কথা জানা গেল।’ রবীন্দ্রনাথ লেখকের উদার প্রকাশভঙ্গিরও প্রশংসা করেন। শিল্পের বিচারে ‘আবদুল্লাহ্’ উৎকৃষ্ট উপন্যাস নয়। তবে বাংলার সামাজিক বিবর্তনের, বিশেষ করে বাঙালি মুসলমানের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা সুচারুভাবে ফুটে ওঠায় গ্রন্থটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে। কাহিনির নায়কের নামেই গ্রন্থটির নামকরণ করা হয়েছে।
প্র : তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের অন্যতম স্থপতি ছিলেন?
উ : বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি (১৯১১)।
প্র : তিনি কবে কোথায় মারা যান?
উ : ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০শে মার্চ, কলকাতায়।