প্র : গোবিন্দদাস কে ছিলেন?
উ : বৈষ্ণব পদকর্তা। চৈতন্যোত্তরকালে খ্যাতি অর্জনকারী কবিদের একজন।
প্র : তিনি কোথায়, কখন জন্মগ্রহণ করেন?
উ : মুর্শিদাবাদ জেলার ভগবানগোলার নিকটবর্তী তেলিয়াবুধুরি গ্রামে, আনুমানিক ১৫৩৫ খ্রিষ্টাব্দে।
প্র : কোন কবি ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি’ নামে খ্যাত।
উ : গোবিন্দদাস। কবি বল্লভদাস অভিধা দিয়েছিলেন-গোবিন্দের কবিত্বগুণ, গেবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।
প্র : গোবিন্দদাসের আসল পদবি কী?
উ : সেন।
প্র : গোবিন্দদাস রচিত সংস্কৃত নাটকের নাম কী?
উ : ‘সংগীতমাধব’।
প্র : গোবিন্দদাস কোন পর্যায়ের পদকর্তা?
উ : পূর্বরাগ, অভিসার, মান, কলহস্তরিতা, বাসকসজ্জা, মাথুর প্রভৃতি পর্যায়ের পদকর্তা।
প্র : কোন পদ পর্যায়ে গোবিন্দদাস শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন?
উ : অভিসার পদ পর্যায়ে গোবিন্দদাস শ্রেষ্টত্ব অর্জন করেছেন। সমালোচকের মতে অভিসার পর্যায়ে তিনি রাজাধিকার।
প্র : গোবিন্দদাসকে কার ভাবশিষ্য বলা হয়?
উ : বিদ্যাপতি।
প্র : গোবিন্দদাস কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন?
উ : গোবিন্দদাস বিখ্যাত বৈষ্ণব ধর্মগুরু শ্রীনিবাস আচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
প্র : গোবিন্দদাসকে কে ‘কবিরাজ’ উপাধি দেন?
উ : শ্রীজীব গোস্বামী।
প্র : গোবিন্দদাসের নামে কতগুলো বৈষ্ণবপদ পাওয়া যায়?
উ : প্রায় সাড়ে চারশত।
প্র : গোবিন্দদাসের কাব্যগুরু কে ছিলেন?
উ : মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
প্র : পদরচনার কোনদিক থেকে গোবিন্দদাসের তুলনা মেলে না?
উ : রাধার অভিসারের পদ রচনায়।
প্র : তার রচিত পদে কোন গুণ পাওয়া যায়?
উ : অলঙ্কারচাতুর্য, ছন্দ-ঝংকার ও রস-মাধুর্য গুণ।
প্র : গোবিন্দদাস রচিত যে একটি নাটকের নাম পাওয়া যায় তা কী?
উ : সঙ্গীতসাধক।
প্র : তাকে কবীন্দ্র উপাধি কে প্রদান করেন?
উ : জীব গোস্বামী
প্র : গোবিন্দদাস রচিত একটি পদের অংশবিশেষ লিখ।
উ : ঢল ঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি
অবনী বহিয়া যায়।
ঈষত হাসির তরঙ্গ-হিলোলে
মদন মুরুছা পায় ॥
প্র : কত সালে তার মৃত্যু হয়?
উ : আনুমানিক ১৬১৩ খ্রিষ্টাব্দে।