ঘুঘু চরানো (সর্বনাশ করা) : চেয়ারম্যানের সাথে শত্রুতা আরম্ভ করেছ জান না, তোমার ভিটেতে ঘুঘু চরিয়ে ছাড়বে।
ঘা খাওয়া (আঘাত পাওয়া) : তোমার ব্যবহারে আমি ঘা খেয়েছি।
ঘা খাওয়া (দুঃখ পাওয়া): বৃদ্ধা জীবনে অনেক ঘা খেয়ে শেষে মারা গেল।
ঘাঁটিঘাঁটি করা (বাহুল্য হস্তক্ষেপ) : করিমের ঘাঁটিঘাঁটি করার স্বভাবটা গেল না।
ঘাটের মরা (অতি বৃদ্ধ): সব দোষ ওর বাপের, সে কুলাঙ্গার টাকার লোভে এমন সুন্দরী কন্যাকে ঘাটের মড়ার সাথে বিয়ে দিল।
ঘাটের মড়া (অতিবৃদ্ধ) : বৃদ্ধ খরচ যোগাতে না পেরে ঘাটের মড়ার সাথে মেয়েকে বিয়ে দিল।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া (বিপদ কেটে যাওয়া): ছাত্রটির জেল হওয়ার কথা, কিন্তু মহানুভব জজ সাহেব তাকে মুক্তি দেওয়ায় শিক্ষকদের ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ালো।
ঘোল খাওয়ানো (জব্দ করা) : শুভ খুব বুদ্ধিমান, সহজে তোমাকে ঘোল খাওয়াতে পারে।
ঘোড় ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া (পদ্ধতির ব্যতিক্রম করা) : বাবাকে অসম্মান করে চাচাকে সম্মান দেখানো এ যেন ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া।
ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়া (উপরওয়ালাকে ডিঙ্গাইয়া স্বার্থ হাসিল করা): দরখাস্ত, অফিসের বড় সাহেবের হাতে দিয়ে পাঠাও ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করো না।
ঘোড়া দেখে খোঁড়া হওয়া (শ্রমসাধ্যকার্যে সাহায্যকারী পেলে অলস হওয়া): ওহে শরীফ, দপ্তরে নতুন লোকের নিয়াগ হয়েছে বলে তোমার ঘোড়া দেখে খোঁড়া হওয়া চলবে না।
ঘোড়া রোগ (সাধ্যাতিরিক্ত) : পকেটে এক টাকা নেই, অথচ দালান বানাবে, এ যে ঘোড়া রোগ।
ঘোড়ার ঘাস কাটা (অর্থহীন কাজ করা) : বেকারদের ঘোড়ার ঘাস কাটা ছাড়া আর কি করার আছে?
ঘোড়ার ঘাস কাটা (বাজে কর্ম করা): মনে রেখ স্কুলে তোমরা পড়াশুনা করতে এসেছ, ঘোড়ার ঘাস কাটতে আসনি।
ঘোড়ার ডিম (অলীক পদার্থ): লোকটা কেমন হাড় কিপটে, তার কাছে যাচ্ছ টাকা ধার চাইতে, ঘোড়ার ডিম পাবে।
ঘোড়ারোগ (বাতিক, অবস্থার অতিরিক্ত বিষয়ে সাধ): চাকরি বাকরি তো কিছুই কর না, তবু প্রতিদিন টিকিট কেটে ফুটবল খেলা দেখা চাই, তোমার এ ঘোড়ারোগ কেন, বাপু!
ঘটিরাম (অপদার্থ) : অফিস-আদালত আজকাল ঘটিরামে ছেয়ে গেছে, কাজ হবে কিভাবে?
ঘটিরাম (অপদার্থ): রিলিফের বদৌলতে কত ঘটিরাম অজস্র টাকা উপার্জন করেছে সে কথা সবারই জানা।
ঘর থাকতে বাবুই ভিজা (সুযোগ থাকতে কষ্ট) : গফুরের প্রচুর টাকা আছে অথচ খরচ করে না- এ যেন ঘর থাকতে বাবুই ভিজা।
ঘর ভাঙা (ঐক্য নষ্ট করা) : সমাজে ঘর ভাঙা লোকের অভাব নেই।
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো (নিজ খরচে পরের বেগার খাটা) : বোকা লোকেরাই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়।
ঘরের ঢেঁকি কুমীর (অপদার্থ খন্ড মার্কা): ওতো একটা ঘরের ঢেঁকি কুমীর, কোন কর্ম নেই, খায় দায় আর ঘুমায়।
ঘরভেদী বিভীষণ (যে গৃহবিবাহ বাধায়): আজিজ, ওর জন্য তুমি ত ওকালতি করছ, কিন্তু জানো, তরু একজন ঘরভেদী বিভীষণ।
তথ্যসূত্র: পুরাতন বইয়ের দোকান/লাইব্রেরি হতে বিভিন্ন লেখকের বাংলা ব্যাকরণ বই সংগ্রহ করে তা এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।