প্র : দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদারের জন্ম সাল কত?
উ : ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দ।
প্র : তিনি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : উলাইল গ্রাম, ঢাকা।
প্র : দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার মূলত কী?
উ : শিশুসাহিত্যিক ও লোক সংগ্রাহক।
প্র : তাঁর রচিত প্রবন্ধাবলি কোন কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উ : প্রদীপ ও সাহিত্য পরিষদ পত্রিকায়।
প্র : তিনি কোন পত্রিকাটি প্রকাশ করেন?
উ : সুধা।
প্র : তিনি জমিদারির কাজে দশ বছর ধরে ময়মনসিংহে থেকে কী করেন?
উ : গ্রাম বাংলার লুপ্তপ্রায় কথাসাহিত্য সংগ্রহ ও তার গবেষণা।
প্র : তিনি এই লোকসংগ্রহ উপাদানগুরো কার পরামর্শে ও কীভাবে প্রকাশ করেন?
উ : দীনেশচন্দ্র সেনের পরামর্শে রসকথা, ব্রতকথা, রূপকথা ও গীতিকথা এ চার ভাগে ভাগ করে প্রকাশ করেন।
প্র : তিনি কোথায় সভাপতি নির্বাচিত হন?
উ : বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ও বৈজ্ঞানিক পরিভাষা সমিতির।
প্র : তিনি পরিষদ কর্তৃক কোন পত্রিকার সম্পাদক নির্বাচিত হন?
উ : পথ নামক সাময়িকীর।
প্র : তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো কী?
উ : টাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, দাদা মশায়ের থলে, ঠানদিদির থলে, খোকা বাবুর খেলা, আমার বই, কিশোরদের মন, বাংলার সোনার ছেলে, পৃথিবীর রূপকথা ও সবুজ লেখা।
প্র : ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ সম্পর্কে লেখ।
উ : ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ (১৯০৭) বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন রূপকথার সংকলন। রূপকথার সঙ্গে এখানে উপকথার বৈশিষ্ট্যও আছে। কারণ পশু-পাখির মুখ দিয়েও কহিনি বর্ণিত হয়েছে। এই গল্পগুলি বলা গ্রামীণ রীতি ও ভাষা যথাসম্ভব অক্ষুণœ রেখে দক্ষিণারঞ্জন সম্পাদনা ও প্রকাশ করে চিরস্মরণীয় হয়েছে।
প্র : ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র পরবর্তী খন্ডের নাম কী?
উ : পরবর্তী খন্ডের নাম ‘ঠাকুরদাদার ঝুলি’ (১৯০৯)। ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ ও ‘ঠাকুরদাদার ঝুলি’ বাংলা শিশুসাহিত্য তো বটেই বাংলা লোকসাহিত্যচর্চার ইতিহাসেও অমূল্য সম্পদ।
প্র : তিনি কোন ছদ্মনামে লিখতেন?
উ : দৃষ্টিহীন।
প্র : তিনি বাংলায় কীসের পরিভাষা রচনা করেন?
উ : বিজ্ঞানের।
প্র : তিনি রূপকথা লেখক হিসেবে কার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা লাভ করেন?
উ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের।
প্র : তাঁর মৃত্যু সাল কত?
উ : ১৯৫৭।