পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ ও পরপদে বিশেষ্য মিলে যে সমাস গঠিত হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। এখানে সমস্ত পদটি সমষ্টিবাচক অর্থ প্রকাশ করে। সংস্কৃতে দুই গো বা গরুর সমষ্টি অর্থ দ্বিগু শব্দের ব্যবহার হয়। এ থেকেই দ্বিগু সমাসের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন-
নয় রত্নের সমাহার- নবরত্ন – ছয় ঋতুর যোগফল- ষড়ঋতু
ত্রি জগতের সমাহার- ত্রিজগৎ – চার পদের সমাহার- চৌপদী
ত্রি মূর্তির সমষ্টি- ত্রিমূর্তি – পঞ্চনদের সমষ্টি- পঞ্চনদ
পঞ্চভূতের সমষ্টি- পঞ্চভূত – ত্রিনয়নের সমষ্টি- ত্রিনয়ন
জ্ঞাতব্য : বিশেষণ + বিশেষ্য পদের মধ্যে সমাস হয়, সে কারণে দ্বিগুকে কর্মধারয় সমাসের গঠনের সমগোত্রীয় মনে করা হয়। পূর্বপদে সংখ্যাবাচক বিশেষণের প্রভাব পরপদে থাকে বলেই দ্বিগু সমাস হয়, না হলে দ্বিগু সমাস হয় না। যেমন- সাত ও পাঁচ-সাতপাঁচ। এখানে উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য আছে- তাই এটা দ্বিগু নয় দ্বন্দ্ব সমাস।
দ্বিগু সমাসের আরো উদাহরণ : চৌরাস্তা, তেমাথা, ত্রিকাল, দোতলা, দুআনা, পাঁচআনা, ত্রিফলা, পঞ্চবটী, ত্রিভুবন, দশচক্র ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: পুরাতন বইয়ের দোকান/লাইব্রেরি হতে বিভিন্ন লেখকের বাংলা ব্যাকরণ বই সংগ্রহ করে তা এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।