প্র : নীলিমা ইব্রাহিম কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১১ই জানুয়ারি ১৯২১, খুলনায়।
প্র : তিনি মূলত কী হিসেবে পরিচিত?
উ : শিক্ষাবিদ।
প্র : তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর নাম কী?
উ : প্রবন্ধ-গবেষণা : শরৎ প্রতিভা (১৯৬০), বাংলার কবি মধুসূদন (১৯৬১), ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী সমাজ ও বাংলার নাটক (১৯৯৪), বাঙালী মানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৮৭), অগ্নিøাত বঙ্গবন্ধুর ভস্মাচ্ছাদিত কন্যা আমি (১৯৯৫), আমি বীরাঙ্গনা বলছি (১৯৯৬)। গল্প : রমনা পার্কে (১৯৬৪)। উপন্যাস : বিশ শতকের মেয়ে (১৯৫৮), এক পথ দুই বাঁক (১৯৫৮), কেয়া বন সঞ্চারিণী (১৯৬২), বহ্নিবলয় (১৯৮৫)। নাটক : দূরে দূরে চার (১৯৬৪), যে অরণ্যে আলো নেই (১৯৭৪), রোদজ্বালা বিকেল (১৯৭৪), সূর্যাস্তের পর (১৯৭৪)। আত্মজীবনী: বিন্দু বিসর্গ (১৯৯১)।
প্র : ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উ : গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলার যেসব নারী কোনো না কোনোভাবে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে দিনের পর দিন পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, সেইসব যুদ্ধাহত কয়েকজনের সত্যকাহিনিনির্ভর জীবন ইতিহাস ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’। যাদের দুঃখের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে তাঁরা হলেন- তারা ব্যানার্জি, মেহেরজান, রীনা, শেফা, ময়না, ফাতেমা, মীনা। তবে লেখকের বর্ণনাতে এই কাহিনি কেবল সাতজনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি তা হয়ে উঠেছে দুলক্ষ মা-বোনের প্রতিনিধি। বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মহিমাময় ভূমিকা, হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের অপকীর্তি ইত্যাদি।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লাভ করেন?
উ : বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৯), জয়বাংলা পুরস্কার ভারত (১৯৭৩), লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৮৯), গেবম রোকেয়া পদক (১৯৯৬)।
প্র : তিনি কবে মৃত্যুবরণকরেন?
উ : ২০০২ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই জুন।