Friday, October 4, 2024

প্যারীচাঁদ মিত্র

প্র : প্যারীচাঁদ মিত্রের জন্ম তারিখ কত?
উ : ২২শে জুলাই, ১৮১৪।
প্র : তিনি কোথয় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : কলকাতা।
প্র : তিনি কী কী ভাষায় দক্ষ ছিলেন?
উ : বাংলা, পারসি ও ইংরেজি।
প্র : তিনি কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ছিলেন?
উ : প্যারীচাঁদ মিত্র অ্যান্ড সন্স।
প্র : প্যারীচাঁদ মিত্র কোন কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন?
উ : ‘বেঙ্গল টি কোম্পানি’ ও ‘ডারাং টি কোম্পানি’।
প্র : তিনি দেশোন্নতিবিধায়ক কোন কোন সভা সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পারন করেন?
উ : জ্ঞানোপার্জিকা সভার যুগ্ম সম্পাদক (১৯৩৮), বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সম্পাদক (১৮৪৩), ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য (১৮৫১) , পশুক্লেশ নিবারণী সভার সম্পাদক (১৮৬১), বঙ্গদেশীয় সামাজিক বিজ্ঞান সভার যুগ্ম সম্পাদক (১৮৬৭-১৮৭৫)।
প্র : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমালোচনা করে রচিত তাঁর প্রবন্ধের নাম কী?
উ : The Zamindar and Royats.
প্র : তিনি গরিব চাষীদের রক্ষাকবচ হিসেবে কী প্রবর্তনের দাবি উত্থাপন করেন?
উ : পঞ্চায়েত ব্যবস্থা।
প্র : তাঁর রচিত কথিত প্রথম উপন্যাসের নাম কী?
উ : আলালের ঘরের দুলাল (১৮৫৭)।
প্র : ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উ : প্যারীচাঁদ মিত্রের প্রথম গ্রন্থ ‘আলালের ঘরের দুলাল।’ ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে থেকে ‘মাসিক পত্রিকা’য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়ে ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায়। কেউ বলেন, ‘আলালের ঘরের দুলাল’ বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস গ্রন্থ। কারো মতে, উপন্যাস নয়, উপন্যাসের লক্ষণাক্রান্ত। অর্থাৎ এটি সার্থক উপন্যাস কি-না এনিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকের মতে, ‘আলালের ঘরের দুলাল’ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সামাজিক নকশা। এখানে দেশীয় বন্ধ্যা শিক্ষা ব্যবস্থা, পান্ডাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে লেখক নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন। তবে আধুনিক ইংরেজি শিক্ষার আলোকে উচ্চ আদর্শ সম্পন্ন জীবনগঠনকে লেখক স্বাগত জানিয়েছেন। কাহিনি বর্ণনায় কৌতুক আছে। এ গ্রন্থের গদ্যে লেখক সচেতনভাবে চলতি ভাষা প্রয়োগ করেছেন। উদ্রোগটি বিশেষভাবে স্মরণীয়্ এই গদ্যরীতি বাংলা সাহিত্যে ‘আলালী রীতি’ হিসেবে পরিচিত। অবশ্য প্যারীচাঁদ নিজেই উত্তরজীবনে এ রীতির চর্চা না করে সাধুরীতিতে গদ্য লেখেন। প্যারীচাঁদ মিত্র ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’ ছদ্মনামে এই রচনাটি পত্রিকায় লেখেন। ধনী বিষয়ী বাবুরামের পুত্র মতিলাল কুসঙ্গে পড়ে এবং শিক্ষার ব্যাপারে পিতার অবহেলা তাকে অধঃপতনে নিয়ে যায়। পিতার মৃত্যুর পর মতিলাল প্রাপ্ত সব সম্পত্তি নষ্ট করে ফেলে। পরে দুঃখের জীবনে তার বোধোদয় ঘটে এবং হৃদয়-মন পরিবর্তিত হওয়ায় সে সৎ ও ধর্মনিষ্ঠ হয়। ধূর্ত উকিল বটলর, অর্থলোভী বাঞ্ছারাম, তোষামোদকারী বক্রেশ্বর ইত্যাদি চরিত্র জীবন্ত। তবে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলো মোকাজান মিঞা বা ঠকচাচা। চরিত্রটি ধূর্ততা, বৈষয়িক বুদ্ধি ও প্রাণময়তা নিয়ে এ গ্রন্থের সর্বাপেক্ষা জীবন্ত চরিত্র। ‘আলালের ঘরের দুলাল’ সার্থক উপন্যাস না হলেও বাংলা ভাষায় উপন্যাস রচনার প্লাটফর্মটি তৈরি করে দেয়্
প্র : বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ কাকে বলা হয়?
উ : প্যারীচাঁদ মিত্রকে।
প্র : পাদ্রি রঙ সাহেব তাঁকে কী বলতেন?
উ : ডিফেন্স অব বেঙ্গল।
প্র : তিনি কোন ছদ্মনামে সাহিত্য রচনা করতেন?
উ : টেকচাঁদ ঠাকুর।
প্র : তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থের নাম কী?
উ : মদ খাওয়া বড় দায় জাত থাকার কি উপায় (১৮৫৯), বামারঞ্জিকা (১৮৬০), গীতাঙ্কুর (১৮৬১), যঃকিঞ্ছিঃ (১৮৬৫), অভেদী (১৮৭১)।
প্র : তিনি কবে মৃত্যুবরণ করেন?
উ : ২৩শে নভেম্বর, ১৮৮৩।

Related Articles

Latest Articles