ধ্বনিকে অক্ষরের সাহায্যে লিখিত রূপ দেবার পদ্ধতি হল বানান। লিখিত বিষয়টি উচ্চারণের সময় বাংলা ভাষায় আলাদা হয়ে যায়। কারণ, বাংলা ভাষা ও বাংলা বর্ণমালার উৎস এক নয়। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, আর লিখি সংস্কৃতের অক্ষরে। সংস্কৃতের উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য বাংলায় নেই, থাকতে পারে না। কারণ বাংলা ভাষার বৈশিষ্ট্য স্ংস্কৃত ভাষার মতো নয়।
বাংলা ভাষার উচ্চারণ ও তার লিখিত রূপের পার্থক্য হয়েছে বাংলায় উচ্চারিত ধ্বনি ও বর্ণমালার মধ্যকার অসঙ্গতির কারণে। আমাদের ১১টি স্বরবর্ণ আছে। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। উচ্চারণের সময় আমরা যৌগিক স্বরধ্বনি ১১টি স্বরবর্ণ আছে। বাংলায় মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি। উচ্চারণের সময় আমরা যৌগিক স্বরধ্বনি ১৭টি ব্যবহার করি। বাংলায় ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৫টি। কিন্তু উচ্চারিত হয় ৩০টি। বাংলায় একটি ধ্বনির জন্য একাধিক চিহ্ন (অক্ষর) উ/উ, ন/ণ, স/ষ/শ) রয়েছে। এমনও ধ্বনি আছে যার কোন বর্ণ নেই (এ্যা)।