পুংলিঙ্গ | স্ত্রীলিঙ্গ |
সংস্কৃত-বৃক্ষ, প্রান্তর, আকাশ, পর্বত | নিদ্রা, ছুরিকা, পুস্তিকা, লজ্জা |
জার্মান- Stein (পাথর), Baum (গাছ), Wolken (আকাশ) | Sonne (সূর্য) Hand, Welb (স্ত্রী) এগুলোকে ক্লীব লিঙ্গ |
হিন্দি-ভাত, কাগজ, লড়কা, কাম, গুণ | ডাল, কিতাব, লড়কী, মিঠাই (স্ত্রী) |
ফরাসী- Caeteau (ছুরী), Lire (বই) | Fourchette (কাটা), Plume (কলম) |
সংস্কৃত ও অন্যান্য ভাষায় প্রকৃতির বিরোধী অথচ ব্যাকরণ অনুসারে লিঙ্গ ভেদ হয়, সেক্ষেত্রে স্ত্রীলিঙ্গ বা পুংলিঙ্গ বিশেষ্যের পূর্বে যে বিশেষণ বসে সেই বিশেষণের পরিবর্তন হয়। যেমন- সুন্দর পুরুষ, সুন্দরী নারী।
বাংলা ভাষা এক্ষেত্রে সংস্কৃত ব্যাকরণ পুরোপুরি অনুসরণ করে না। সাধু ভাষায় কোন কোন ক্ষেত্রে করলেও চলিত ভাষায় করে না।
আমরা বলি, ভাল ছেলে, ভাল মেয়ে বা সুন্দর ছেলে, সুন্দর মেয়ে- কিন্তু হিন্দিতে বড় ছেলে, বড় বউ এর পরিবর্তে বলা হয়, বড়া লড়কা, বড়ী বহূ। সাধু ভাষায় গুরু গম্ভীর করতেও সংস্কৃতের অনুকরণ করা হয়- সুন্দরী দুহিতা, বিদ্বান পুরুষ, বিদুষী নারী, মহতী সভা, সুশীলা কন্যা।
আ-কারান্ত ই-কারান্তও তি-প্রত্যয়ান্ত বহু বস্তু ও ভাবব্যঞ্জক শব্দ সংস্কৃতে স্ত্রীলিঙ্গ হয় এবং বাংলাতে এর অনুকরণ হয়: পরাবিদ্যা, ধৈর্যশীলা নারী, তমিস্রা রজনী, পুষ্পময়ী লতা, বেগবতী নদী ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় তিনভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন হয়: (১) পৃথক শব্দ দ্বারা (২) সাধারণ শব্দে পুরুষ বা স্ত্রীবাচক শব্দ যোগে (৩) পুংবাচক নামের শেষে প্রত্যয় যোগে।