প্র : ভারতচন্দ্র রায়ের পরিচয় দাও।
উ : ভারতচন্দ্রের জীবনকাল ১৭১২ থেকে ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ। তিনি আঠার শতকের মঙ্গলকাব্য ধারার শ্রেষ্ঠ কবি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পান্ডুয়া গ্রামে জমিদার বংশে তাঁর জন্ম। পিতা নরেন্দ্রনারায়ণ রায়, মা ভবানী দেবী।
প্র : তিনি কোন কোন ভাষা জানতেন?
উ : বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, পারসি ও আরবি।
প্র : তিনি কোন রাজার সভাকবি ছিলেন?
উ : নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের।
প্র : কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশের ভারতচন্দ্র কী রচনা করেন?
উ : ভারতচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ কীর্তি অন্নদামঙ্গল কাব্য (১৭৫২-’৫৩) রচনা।
প্র : কবিত্ব শক্তিতে মুগ্ধ হয়ে কে তাঁকে রায়গুণাকর উপাধি প্রদান করেন?
উ : রাজা কৃষ্ণচন্দ্র
প্র : মধ্যযুগের ‘শেষ বড় কবি’ কাকে বলে।
উ : ভারতচন্দ্রকে
প্র : ভারতচন্দ্রকে আর কী বিশেষণে অবিহিত করা হয়?
উ : নাগরিক কবি।
প্র : ভারতচন্দ্র রচিত আর একটি বিখ্যাত গ্রন্থের নাম কর।
উ : সত্য পীরের পাঁচালী (১৭৩৭-৩৮)
প্র : অন্নদামঙ্গল কাব্য প্রথ কে মুদ্রিত করেন?
উ : গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য, ১৮১৬ খ্রিষ্টাব্দে।
প্র : ‘না রবে প্রাসাদগুণ না হবে রসাল অতএব কহি ভাষা যাবনী মিশাল ॥’ – কোন কবির রচনা?
উ : ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের।
প্র : ‘যাবনী’ কী?
উ : ‘যবন’ শব্দের অর্থ বহিরাগত। আরবি-পারসি ভারতবর্সে বহিরাগত ভাষা। সে কারণে যাবনী বলে এখানে আরবি-পারসি ভাষা বোঝানো হয়েছে। পরবর্তীকালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর রচনায় ‘যবন’ শব্দের ব্যবহার করেছেন আরবি-পারসি ভাষার উত্তরাধিকারী মুসলমানদের বোঝাতে।
প্র : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’- কার রচনা?
উ : ভারতচন্দ্রের। তিনি উশ্বরী পাটনী চরিত্রের মুখ দিয়ে একথা বলিয়াছেন।