প্র : মনোএল দা আসসুম্পসাঁউ কে ছিলেন?
উ : একজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক।
প্র : তিনি কোন দেশের বাসিন্দা?
উ : পর্তুগালের। জাতিতে ছিলেন পর্তুগিজ।
প্র : বাংলা সাহিত্যে তাঁর নাম স্মরণ করা হয় কেন?
উ : কারণ তিনি বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচয়িতা।
প্র : মনোএলের ব্যাকরণ কী?
উ : মনোএলের আগে কেউ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ লেখেন নি। ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন শহরে রোমান লিপিতে মনোএল দুটি বাংলা গ্রন্থ রচনা ও মুদ্রণ করেন। গ্রন্থ দুটি হলো : কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ এবং ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই পোরতুগিজ। এর মধ্যে দ্বিতয়িটি অর্থাৎ ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই গোরতুগিজ মূলত অভিধান গ্রন্থ। তবুও এই গ্রন্থেই মনোএল অতি সংক্ষেপে বাংলা ভাষার ব্যাকরণ একটি অধ্যায়ে সংযোজন করেন। এটাকেই মনোএলের ব্যাকরণ বলে এবং এ কারণেই তিনি বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচয়িতা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।
প্র : ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদে’র পরিচয় দাও।
উ : ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ (১৭৩৫) মনোএর দ্য আসসুম্পসাঁউ নামক পর্তুগিজ খ্রিষ্টান মিশনারি কর্তৃক রচিত বাংলা গদ্যগ্রন্থ। ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে লিসবন শহর থেকে রোমান লিপিতে মুদ্রিত হয়। শুরুশিষ্যের কথোপকথনের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টধর্মের মহিমা কীর্তন এই গ্রন্থের লক্ষ্য।