প্র : মহাদেব সাহা কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৯৪৪ সালের ৫ই আগস্ট, সিরাজগঞ্জে।
প্র : তিনি কী হিসেবে পরিচিত?
উ : কবি ও সাংবাদিক।
প্র : তিনি কোন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন?
উ : দৈনিক ইত্তেফাকের সহ-সম্পাদক।
প্র : তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর নাম কী?
উ : কবিতা : এই গৃহ এই সন্ন্যাস (১৯৭২), মানব এসেছি কাছে (১৯৭৩), কী সুন্দর অন্ধ (১৯৮২), ফুল কই শুধু অস্ত্রের উল্লাস (১৯৮৪), আমি ছিন্ন ভিন্ন (১৯৮৬), তোমার জন্য অন্ত্যর্মিল (১৯৯৬), ভুলি নাই তোমাকে রুমাল (১৯৯৬), অন্তহীন নৃত্যের মহড়া (১৯৯৭)। প্রবন্ধ : আনন্দের মৃত্যু নেই (১৯৮৪), মহাদেব সাহার কলাম (১৯৯২), কবির দেশ ও অন্যান্য ভাবনা (১৯৯৯)।
প্র : ‘এই গৃহ এই সন্ন্যাস’ কাব্যগ্রন্থর পরিচয় দাও।
উ : মহাদেব সাহার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রকাশিত হয় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে। এতে রয়েছে মোট ৪২টি কবিতা। কবিতাগুলোতে স্থান পেয়েছে সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, স্বদেশের করুণতম ট্র্যাজেডি, শৈশব স্মৃতি, মানুষের জীবন সংগ্রাম ইত্যাদি। তাছাড়া ব্যক্তির অনুভূতি ও অস্তিত্ববাদী বেদনার চিত্র অঙ্কনে কবি চিত্রকল্পের আশ্রয় নিয়েছেন। এ কারণে জিরাফের ভয়ঙ্কর গলা তক্ষকের ডাক, লেকের জলের দামের মধ্যে চিত্রকল্পের সন্ধান করেছেন এবং তার প্রয়োগ হয়েছে সার্থকভাবে।
প্র : ‘আনন্দের মৃত্যু নেই’ গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উ : কবি মহাদেব সহার এই প্রবন্ধের বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে। বইটি মূলত রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক। লেখক রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য তুলে ধরেছেন গ্রন্থটিতে। এই পুস্তকটি তিন অধ্যায়ে বিভক্ত আছে। প্রথম অধ্যায়ের নাম ‘প্রাণের মাঝে সুধা আছে’ দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম ‘কবিতার মৃত্যু’ এবং তৃতীয় অধ্যায়ের নাম ‘আনন্দের মৃত্যু নেই’।
প্র : তিনি কী কী পুস্করা লাভ করেন?
উ : বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৩), জেবুন্নেসা-মাহবুব উল্লাহ পুরস্কার (১৯৯৪), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৫)।