বোধগম্য করে কথা বলার জন্য বা লেখার জন্য বাক্যের মাঝখানে বা শেষে কখনো কখনো বিরতি দেবার প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে বিশেষ কিছু চিহ্ন ব্যবহার করে বিরতি দেয়া বা থামা হয়। এই বিশেষ চিহ্নকে যতি বা বিরাম চিহ্ন বলে। প্রতিটি যতি বা বিরাম চিহ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় থামা এই বিশেষ চিহ্নকে যতি বা বিরাম চিহ্ন বলে। প্রতিটি যতি বা বিরাম চিহ্নের জন্য নির্দিষ্ট সময় থামা প্রয়োজন। এই বিধির প্রয়োগে বাক্য শুদ্ধ হয়, শ্রোতার জন্য বাক্যের অর্থ বুঝতে সুবিধা হয়, সঠিকভাবে শব্দ উচ্চারিত হয়। যতি চিহ্ন ব্যবহারের এই বিধি বা নিয়মকে যতিচ্ছেদ বিধি বলে। বাংলায় সাধারণত লেখার সময় ঝোঁক বা সুরের নির্দেশ করা হয় না। তবে প্রশ্ন, হর্ষ বা আনন্দের মতো বিশেষ ভাব প্রকাশ করতে কণ্ঠস্বর বা সুরের পরিবর্তন প্রয়োজন। এর জন্য যতি চিহ্নের প্রয়োজন। বাংলায় যতি চিহ্নের বেশির ভাগ এসেছে ইংরেজি ভাষা থেকে। প্রাচীন বাংলায় পুঁথিতে শুধুমাত্র এক দাঁড়ি (।) ও দুই দাঁড়ির (।।) ব্যবহার ছিল।