প্র : রশীদ করীম কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৯২৫ সালের ১৪ই অগস্ট, কলকাতায়।
প্র : তাঁর প্রকামিত গ্রন্থগুরোর নাম কী?
উ : উপন্যাস : উত্তম পুরুষ (১৯৬১), প্রসন্ন পাষাণ (১৯৬৩), আমার যত গ্লানি (১৯৭৩), সোনার পাথর বাটি, বড়ই নিঃসঙ্গ, লান্সবাক্স ইত্যাদি। প্রবন্ধ : আর এক দৃষ্টিকোণ, মনের গহনে তোমার মুরতিখানি।
প্র : ‘উত্তম পুরুষ’ উপন্যাসের পরিচয় দাও।
উ : রশীদ করীমের এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাকেরকে ঘিরে সেলিনা, অনিমা, শেখর, মুশতাক, সলিল, চন্দ্রা, নিহার ভাবি, শিশির এ রকম অসংখ্য চরিত্র আবর্তিত হয়েছে। এদের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় কোথাও কোথাও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। আধুনিক মননশীলতা, পরিশীলতা, আঙ্গিক, অভিজ্ঞতার নির্লিপ্ত বর্ণনায় পাঠকের পাঠতৃষ্ণার নিবারণ হয়্
প্র : ‘আমার যত গ্লানি’ উপন্যাসের পচিয় দাও।
উ : স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সামাজিক, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিক অস্থিরতাকে আশ্রয় করে রশীদ করীম উপন্যাসটি রচনা করেন। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে। গ্রন্থটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলা যায় না কারণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো ছাড়া বাকি সবই কল্পনাপ্রসূত। উপন্যাসের নায়ক এরফান অন্তর্গতভাবে দহন হবার ফলে সামাজিক কঠিন বাস্তবতার কাছে বারংবার পরাজিত হয়। কিন্তু অন্তরাত্মাকে সজাগ রাখে বলে শেষ অবধি সে অপরাজিত থাকে। এই অপরাজেয় মানসিকতাই উপন্যাসের মূলসুর।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লাভ করেন?
উ : বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭২), একুশে পদক (১৯৮৪), লেখিকা সংঘ পুরস্কার (১৯৯১), জনকণ্ঠ পুরস্কার (২০০১)।