সাহিত্যিক

রামপ্রসাদ সেন

প্র : রামপ্রসাদ সেন বিখ্যাত কীভাবে?
উ : শাক্ত সঙ্গীত রচনা করে।
প্র : তাঁর জন্মস্থান ও পিতার নাম?
উ : পশ্চিমবঙ্গের হালিসহরে জন্ম। পিতা রামরাম সেন। অল্প বয়সে পিতার মৃত্যুহলে তাঁকে চাকুরি করতে হয়।
প্র : তিনি কী কী ভাষা জানতেন?
উ : বাংলা, সংস্কৃত, হিন্দি, পারসি।
প্র : তিনি কীভাবে শাক্তপদ রচনায় ব্রতী হন?
উ : চাকুরির অবসরকালে, পরে সার্বক্ষণিকভাবে কালীসাধনা ও পদ রচনা করেন।
প্র : শাক্তপদাবলির আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উ : রামপ্রসাদ সেন।
প্র : রামপ্রসাদের গানের সুর কী নামে পরিচতি?
উ : রামপ্রসাদের গানের সুর ‘রামপ্রসাদি সুর’ নামে পরিচিত।
প্র : রামপ্রসাদ কোন ধরনের সাধক?
উ : রামপ্রসাদ ছিলেন গৃহী ও সাধক।
প্র : রামপ্রসাদের গান শুনে কে অভিভূত হয়েছিলেন?
উ : বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
প্র : রামপ্রসাদের উপাধি কী? কে দিয়েছিলেন?
উ : রামপ্রসাদের উপাধি ছিল ‘কবিরঞ্জন’। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই উপাধি দিয়েছিলেন।
প্র : রামপ্রসাদের শ্যামাসঙ্গীতের সংখ্যা কত?
উ : প্রায় তিনশ।
প্র : রামপ্রসাদের সেন রচিত পদগুলোকে কী বলা হয়?
উ : শ্যামা সঙ্গীত বা রামপ্রসাদী বা শাক্ত পদাবলী।
প্র : রামপ্রসাদ কী সন্ন্যাসী ছিলেন?
উ : না। তিনি অন্তরে বৈরাগ্য নিয়েছেন, কিন্তু গৃহত্যাগ করেন নি।
প্র : ‘আমি কি দুঃখেরে ডরাই’- কার উক্তি?
উ : রামপ্রসাদ সেনের।
প্র : রামপ্রসাদের আর একটি বিখ্যাত গান কী?
উ : মনরে কৃষি কাজ জান না
এমন মানবজমিন রইল পতিত
আবাদ করলে ফলত সোনা।
প্র : রামপ্রসাদ সেনের জন্ম-মৃত্যু সাল কত?
উ : জন্ম ১৭২০, মৃত্যু ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দ।

Exit mobile version