রুই-কাতলা (নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি): আরে ভাই সে দিনকাল কি আর আছে? বর্তমান সরকারের সুশাসনে আজ দুর্নীতিপরায়ণ অনেক রুই কাতলা ধরা পড়ছে।
রুই-কাতলা (নেতৃস্থানীয়) : চুনোপুটিরা ধরা পড়লেও সবসময় রুই-কাতলা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
রক্তের টান (স্বজনপ্রীতি) : যত মনমালিন্যই হোক ভাই-বোনের মধ্যে রক্তের টান থাকবেই।
রক্তের টান (স্ববংশ প্রীতি): হাজার হলেও ভাই ভাই রক্তের টান, শত্রট্টতা কি বেশি দিন থাকে?
রগচটা (অত্যন্ত বদ মেজাজী) : আমাদের মধ্যে রানা অত্যন্ত রগচটা স্বভাবের লোক।
রগচটা (যে একটুতেই রাগে): মহসীন খুব রগচটা, ওকে দায়িত্বপূর্ণ পদে গ্রহণ করা উচিত নয়।
রা করা (কোন কথা বলা): তুই কেমন ছেলে বাবা বলতো, এ যে সাত চড়েও রা করিস না।
রাই কুড়িয়ে বেল (অল্প অল্প সঞ্চয়ে প্রচুর অর্থ জমানো): সঞ্চয়ের অভ্যাস থাকলেই রাই কুড়ায়ে বেল করা সম্ভবপর।
রাঘব বোয়াল (অর্থগৃন্ধু): সরকারি চাকুরেদের রাঘব বোয়ালরাই শহরে হাল ফ্যাশনের বাড়িঘর ফাঁকিয়েছেন।
রাঘববোয়াল (অর্থলোভী) : বড় বড় চাকরিতে কিছু কিছু রাঘববোয়াল লোক আছে।
রাঙা মূলো (প্রিয়দর্শন কিন্তু গুণহীন) : এমন রাঙা মূলো দিয়ে এ কঠিন কাজ হবে না।
রাজ-ঘোটক (উপযুক্ত মিলন করতে যে পারদর্শী) : রাজ-ঘোটকের দ্বারাই কেবল বর-কনের এমন মনিকাঞ্চন যোগ সম্ভব।
রাজা উজির মারা (বড় বড় কথা বলা): বক্তৃতার সময় অনেকেই রাজা উজির মারতে পারে, কাজের বেলায় ফক্কা।
রাজযোটক (সুন্দর মিল): যেমন ঠক চাচা, তেমন ঠক চাচী, রাজযোটক হয়েছে ভাই।
রাত কানা (রাতের বেলায় যে দেখতে পায় না): রাত কানা মানুষের পক্ষে রাতে চলাফেরা কঠিন।
রাতকানা (যে রাতে দেখে না) : ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়।
রাবণের চিতা (অশান্তি): বিধবার একমাত্র উপার্জনক্ষম পুত্রের মৃত্যুতে তার অন্তরে রাবণের চিতা জ্বলছে।
রাবণের চিতা (চির অশান্তি) : একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে মায়ের বুকে রাবণের চিতা জ্বলছে।
রাশ ভারী (গুরুগম্ভীর) : জামিল সাহেব একজন রাশ ভারী লোক।
রাশভারি (গুরুগম্ভীর): আমাদের অফিসের ম্যানেজার সাহেব রাশভারি লোক তাঁর সামনে গিয়ে কথা বলতে ভয় হয়।
রাহুর দশা (দুঃসময়) : শেয়ার বাজারে প্রচুর টাকা মার খেয়ে শোভন রাহুর দশায় পড়েছে।
রাহুর দশা (দুঃসময়): চারদিকে তোমার অশান্তি, বোধ হয় রাহুর দশায় পড়েছ ভাই।
রায় বাঘিনী (উগ্র স্বভাবের নারী) : সংসারে রায় বাঘিনীদের নিয়ে সুখ-সমৃদ্ধি আশা করা যায় না।
রেখে ঢেকে বলা (চেপে রাখা) : দশ জনের সামনে রেখে ঢেকে কথা বলতে হয়।
তথ্যসূত্র: পুরাতন বইয়ের দোকান/লাইব্রেরি হতে বিভিন্ন লেখকের বাংলা ব্যাকরণ বই সংগ্রহ করে তা এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।