Wednesday, October 9, 2024

শহীদুল্লা কায়সার

প্র : মহীদুল্লা কায়সারের জন্ম সালে কত?
উ : ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯২৭; ফেনিতে।
প্র : তিনি মূলত কী হিসেবে পরিচিত?
উ : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।
প্র : তাঁর পুরো নাম কী ছিল?
উ : আবু নঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
প্র : তাঁর পিতার নাম কী ছিল?
উ : হাবীবুল্লাহ।
প্র : জহির রায়হানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী?
উ : উভয়ে সহোদর ভাই।
প্র : তিনি কোন রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন?
উ : মার্কসবাদ-লেলিনবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বামপন্থী ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন এবং পরে কমিউনিস্ট রাজনীতিতে যাগ দেন।
প্র : তিনি কোন দল গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
উ : গণতান্ত্রিক যুবলীগ (সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭)।
প্র : পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য নির্বাচিত হন কত সালে?
উ : ১৯৫১ সালে।
প্র : তিনি প্রথম কত সালে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান?
উ : ১৯৫২ সালে।
প্র : তিনি প্রথম কত সালে গ্রেফতার হয়ে জেলে যান?
উ : ১৯৫২ সালে।
প্র : তিনি কোন পত্রিকায় যোগদানের মধ্যদিয়ে সাংবাদিতার পেশা গ্রহণ করেন?
উ : সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯)।
প্র : তিনি কত সালে দৈনিক সংবাদের সহকারী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন?
উ : ১৯৫৮ সালে।
প্র : তিনি কোন শিরোনামে উপসম্পাদকীয় রচনা করেন?
উ : ‘রাজনৈতিক পরিক্রমা’, ‘বিচিত্র কথা’।
প্র : তাঁর উপন্যাসে বাঙালি জীবনের কোন দিকটি উজ্জ্বলভাবে প্রকাশিত?
উ : বাঙালি জীবনের আশা-আকাক্সক্ষা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও সংগ্রামী চেতনা।
প্র : তিনি কোন দুটি উপন্যাস লিখে খ্যাত হন?
উ : সারেং বৌ (১৯৬২) উপন্যাসে বাংলাদেশের সমুদ্র-উপকূলবর্তী জনপদের বিশ্বস্ত চিত্র আছে। কদম সারেং সৎ বলে সহকর্মীদের মত বাড়ি ও দালান করতে পারে নি। স্ত্রী নবিতুনকে নিয়ে আর্থিক কষ্টের মধ্যেও সুখে থাকে সে। প্রকৃতির বিরুদ্ধতায় সারেং যখন দীর্ঘ দিন নিখোজ, সেই সময় যুবতী নবিতুনের উপর দারিদ্র্য ও লোলুপ সমাজপতিদের লোলুপতা নেমে আসে। দাম্পত্য আদর্শনিষ্ঠ বলে নবিতুন সব কিছু পরাজিত করতে পারে। সারেং কদম যখন ফিরে আসে তখন সাগরের বুকে সে চরম মাত্রায় পিপাসিত। এ অবস্থায় ধর্মীয় বিধি লংঘন করে নবিতুন নিজের স্তন্যদুগ্ধ পান করিয়ে স্বামীকে বাঁচতে সাহায্য করে। এই উপন্যাসে সব সংস্কার তুচ্ছ করে মানুষকে জয়ী দেখানো হয়েছে।
প্র : ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসের পরিচয় দাও।
উ : সংশপ্তক শব্দটি মহাভারতের। এর অর্থে বোঝায়, যে সৈনিকেরা জীবনমরণ পণ করে যুদ্ধে লড়ে। পালিয়ে আসে না। শহীদুল্লা কায়সার এ ধরনের চেতনাকে ধারণ করেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্ববর্তী কাল থেকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পূর্বকাল অবধি বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও রূপান্তর উপন্যাস ‘সংশপ্তকে’ (১৯৬৫) ধারণ করেছেন। ‘সংশপ্তক’কে (১৯৬৫) ধারণ করেছেন। ‘সংশপ্তক’কে তাই মহাকাব্যিক উপন্যাস বলা হয়। হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ এ উপন্যাসের অন্যতম বর্ণিত বিষয়। এখানে ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক পরিবেশের সঙ্গে বাকুলিয়া ও তালতলি গ্রামের গ্রামীণ পরিবেশের প্রতীকে সমগ্র বাংলাদেশের জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি প্রাসঙ্গিকভাবেই উপন্যাসে এসেছে। উল্লেখযোগ্য চরিত্র : রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল ইত্যাদি। এ উপন্যাসে বাংলার জনগণ সংশপ্তকের মতো সর্বদা সংস্কৃতি, সম্প্রীতি ও মানুষ্যত্বে রক্ষায় সংগ্রামশীল।
প্র : ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ নামক তাঁর স্মৃতিকথা কবে প্রকাশিত হয়?
উ : ১৯৬২ সালে।
প্র : তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্তের নাম কী?
উ : ‘পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ’ (১৯৬৬)।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লাভ করেন?
উ : আমদজি পুরস্কার (১৯৬২), বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২) (দুটোই সারেং বৌ উপন্যাসের জন্য)।
প্র : তিনি কত সালে কীভাবে নিখোঁজ হন?
উ : ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দোসর আলবদর বাহিনীর সদস্যগণ তাঁর ঢাকার কায়েতটুলির বাসভবন থেকে তাঁকে অপহরণ করে কনিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো সন্ধান পাওয়া যায় নি।

Related Articles

Latest Articles