প্র : শাহ মুহম্মদ সগীর-এর জন্মসন কত?
উ : আনুমানিক ১৪-এর শেষ থেকে ১৫ শতক।
প্র : তিনি মূলত কী ছিলেন?
উ : কবি।
প্র : তিনি কোন অর্থে প্রাচীন কবি?
উ : মধ্যযুগে মুসলমান কবিদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন বলে।
প্র : তাঁর রচিত কাব্যটির নাম কী?
উ : ইউসুফ জোলেখা
প্র : তিনি ইউসুফ জোলেখা কাব্য রচনায় রাজবন্দনায় কার প্রশংসায় পঞ্চমুখ?
উ : সুলতান গ্যেছ (অর্থাৎ গিয়াসদ্দিন আযম শাহ)
প্র : তাঁর রচিত কাব্যে কী শব্দের বহুল ব্যবহার লক্ষনীয়?
উ : প্রাকৃত ভাবাপন্ন। তাছাড়া আরবি-পারসি শব্দবহুলতা।
প্র : ইউসুফ জোলেখার প্রেম কাহিনির উৎস কোথায়?
উ : ধর্মগ্রন্থ কোরানে এই কাহিনি আছে।
প্র : শাহ মুহম্মদ সগীর তাঁর গ্রন্থের কাহিনি কোথা থেকে গ্রহণ করেছেন?
উ : পারসি কবি আবদুর রহমান জামি রচিত ইউসুফ জোলেখা থেকে।
প্র : শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত ইউসুফ জোলেখার কাহিনি সংক্ষেপে বর্ণনা কর?
উ : তৈমুস বাদশার কন্যা জোলেখার আজিজের সঙ্গে বিয়ে হয়। ক্রীতদাস ইউসুফের (নবি) প্রতি প্রেমাসক্ত হয়ে জোলেখা তাকে আকর্ষণ করে। নানা ঘটনায় ইউসুফ মিশরের অধিপতি হয় এবং তার মনের পরিবর্তন ঘটে। ধর্মান্তরের মধ্য দিয়ে ইউসুফ-জোলেখার মিলন হয়। সুফিরা ইউসুফকে পরমাত্মা জোলেখাকে জীবাত্মার প্রতীক বিবেচনা করেন। সগীরও তাই করেছেন। তবে বর্ণনায় প্রেমের আবহটি প্রধান হয়েছে। সগীর ছাড়া একই কাহিনি নিয়ে আবদুল হাকিম, গরীবুল্লাহ, ফকির মুহম্মদ প্রমুখ কাব্য লিখেছেন।
প্র : সগীর রচিত ইউসুফ জোলেখা কাব্যে ‘জোলেখার প্রেম নিবেদন’ অংশ থেকে কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত কর।
উ : ব্যাধি এ পীড়িত মোর বিকল শরীর। ঔষধ দর্শনে প্রাণ শান্ত নহে স্থির ॥ এহেন নির্জন পুরী বিরল সম্ভোগ। পরিহরি লজ্জা ভীতি কর উপভোগ ॥ না জানি কেমন আছে নিষেধ কারণ ॥
প্র : সগীরের কাব্যে কোন দিকটি প্রধান?
উ : আধ্যাত্মিক প্রেমতত্ত্বের ব্যঞ্জনা নয়, মানবপ্রেমের প্রাধান্য।