প্র : সরদার জয়েনউদ্দীনের জন্মসন কত?
উ : ১৯১৮।
প্র : তাঁর জন্মস্থান কোথায়?
উ : কামারহাটি গ্রাম, পাবনা।
প্র : তিনি মূলত কী ছিলেন?
উ : কথাসাহিত্যিক।
প্র : তাঁর গল্প উপন্যঅসের কোন দিকটি নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্কিত হয়েছে?
উ : সমকালনি সমাজের সঙ্কট, মানবিক মল্যবোধের অবক্ষয়, গ্রামীণ সমাজের অবহেরিত মানুষের দুঃখ-বেদনা এবং জমিদার, জোতদার ও মহাজনদের শোষণ নিপীড়নের চিত্র।
প্র : তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের নাম কী?
উ : উপন্যাস : আদিগন্ত (১৯৫৯), অনেক সূর্যের আশা (১৯৬৭), বেগম শেফালী মার্জী (১৯৬৮), রোদের ঢেউ (১৯৭৫) ইত্যাদি। ছোটগল্প : নয়ন ঢুলি (১৯৫২), খরস্রোত (১৯৫৫), বেলা ব্যানার্জির প্রেম (১৯৬৮), অক্টপ্রহর (১৯৭৩)।
প্র : ‘আদিগন্ত’ উপন্যাসের পরিচয় দাও।
উ : সরলা ও মেহের বয়াতির প্রেমের কাহিনি বর্ণনার ভেতর দিয়ে পল্লী সমাজের জটগুলো অনাবৃতভাবে প্রকাশিত হয়েছে সরদার জয়েনউদ্দীন রচিত ‘আদিগন্ত’ উপন্যাসে। একটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। গ্রামের পির খোরশেদ আলি, বৈষ্ণব কন্যা সরলার সঙ্গে মুসলমান মেহেরের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শোরশেদ উভয়ের ধর্মের দোহাই দেয়। কিন্তু সরলার প্রতি কাম অনুভব করে খোরশেদ। সরলার দেহ ভোগ করার জন্য কৌশলে কু-ুল বোরেগির সঙ্গে সরলার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। বিয়ের রাতেই কু-ুলকে কৌশলে হত্যা করায় পির। কিন্তু হত্যার দায়ে মেহেরকে জেলে পাঠান হয়। এই উপন্যাসে গ্রামে বসবাসরত হিন্দুদের দুরবস্থা, বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার দিকটি ফুটে উঠেছে। অ্যদিকে পির খোরশেদ আলির মতো কামপীড়িত দুর্জনদের স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়েছে।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লাভ করেন?
উ : বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৭), আদমজি পুরস্কার (১৯৬৭)।
প্র : তাঁর মৃত্যুসন কত?
উ : ২২শে ডিসেম্বর, ১৯৮৬।