প্র : সৈয়দ শামসুল হক কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর; কুঁড়িগ্রামে।
প্র : তিনি মূলত কী হিসেবে পরিচিত?
উ : লেখক।
প্র : তাঁকে কী সব্যসাচী লেখক বলা যায়?
উ : বাংলা সাহিত্যে সব্যসাচী লেখক বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বোঝায়। কারণ তিনি সাহিত্য ও শিল্পের সমস্ত ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আধুনিক যুগে বুদ্ধদেব বসুকেও সব্যসাচী লেখক বলা চলে। যদিও তিনি রবীন্দ্রনাথের মতো সাহিত্য-শিল্পের সর্বদিকে অবদান রাখতে পারেন নি। সৈয়দ শামসুল হক এঁদের বিচারে অবশ্যই সব্যসাচী লেখক নন। তাঁকে সব্যসাচী লেখক হিসেবে অভিহিত করার ক্ষেত্রে তাঁর কয়েংকজন অনুরাগী এবং তিনি নিজেও চেষ্টা করছেন। আসল কথা, তাঁর প্রথম দিককার গ্রন্থগুলো সৈয়দ শামসুল হকেরই সহোদরের লক্ষ্মীবাজারস্থ সব্যসাচী প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায় এবং এ সময় সৈয়দ শামসুল হক গল্প, কবিতা, উপন্যাসের সঙ্গে বাংলা সিনেমার জন্য চিত্রনাট্যও লিখছিলেন।
প্র : তাঁর কথাসাহিত্যে যৌনতার অভিযোগ কী সত্য?
উ : তিনি কথাসাহিত্যে চরম যৌনতা আমদানি করেছেন। ষাটের ও সত্তরের দশকে যখন বাংলাদেশের বাংলা কথাসাহিত্যে যৌনতা ছিল খুই লজ্জার ও অপানের বিষয়, সে সময়ই তিনি বহু যৌনগন্ধী কাহিনি লেখেন। তাঁর ‘খেলারাম খেলে যা’ উপন্রাসকে ‘পিন-আপ-ণভেল’ বলা হয়। হুমায়ুন আজাদ এর ধরনের উপন্যাসকে ‘অপন্যাস’ বলেছেন।
প্র : তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর নাম কী?
উ : কবিতা : একদা এক রাজ্যে (১৯৬১), বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা (১৯৭০), পরানের গহীন ভিতর (১৯৮০), বেজান শহরের জন্য কোরাস (১৯৮৯) , কাননে কাননে তোমারই সন্ধানে (১৯৯০), আমি জন্মগ্রহণ করিনি (১৯৯০) ইত্যাদি।
কাব্যনাট্য : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় (১৯৭৬), নুরুলদীনের সারা জীবন (১৯৮২), এখানে এখন (১৯৮৮)।
প্রবন্ধ : হৃৎকলমের টানে (১৯৯১)।
গল্প : তাস (১৯৫৪), শীত বিকেল (১৯৫৯), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭), প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান (১৯৮২), জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০)।
উপন্যাস : এক মহিলার ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), খেলারাম খেলে যা (১৯৭৯), নীল দংশন (১৯৮১), স্তব্ধতার অনুবাদ (১৯৮৭), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১৯৮৯), ত্রাহি (১৯৮৯), তুমি সেই তরবারী (১৯৮৯), অন্য এক আলিখান, এক মুঠো জন্মভূমি, আলোর জন্য, রাজার স্দুরী।
প্র : তিনি কী কী পুরস্কার লাভ করেন?
উ : বাংরা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৬), আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩), একুশে পদক (১৯৮৪) ইত্যাদি।