প্র : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কত সনে জন্মগ্রহণ করেন?
উ : ১৭ই এপ্রিল ১৮৩৮।
প্র : তাঁর জন্মসাথান কোথায়?
উ : গুলিটা রাজবল্লভ গ্রাম, হুগলি।
প্র : তিনি মূরত কী ছিরেন?
উ : মহাকাব্যের কবি।
প্র : তাঁর পেশা কী ছিল।
উ : আইন ব্যবসা। প্রথমে শ্রীরামপুর, পরে হাওড়ায় মুন্সেফ পদে কর্মসম্পাদন। অবশেষে কিছুকাল স্বাধীনভাবে কলকাতা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা।
প্র : বাংলা মহাকাব্যের ধারায় তাঁর দান কেমন?
উ : তিনি মহাকাব্রের মধ্য দিয়ে তৎকালীন ইংরেজ শাসিত ভারতীয়দের, বিশেষত বাঙালি শিক্ষিত মহলে স্বদেশপ্রেমের উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
প্র : মধুসূদনের পরবর্তীকারে সর্বাধিক খ্যাতিমান কবি কে ছিলেন?
উ : চিন্তাতরঙ্গিণী (১৮৬১),
বীরবাহু (১৮৬৪),
কবিতাবলী (খন্ড কবিতার সংকলন, ১৮৭০),
আকাশানন (১৮৭৬),
ছায়াময়ী (১৮৮০),
দশমহাবিদ্যা (১৮৮২),
চিত্তবিকাশ (১৮৯৮)।
প্র : হেমচন্দ্র রচিত মহাকাব্যের নাম কী?
উ : বৃত্রসংহার (১ম খন্ড ১৮৭৫, ২য় খন্ড ১৮৭৭)।
প্র : ‘বৃত্রসংহার’ গ্রন্থের পরিচয় দাও।
উ : ‘বৃত্রসংহার’ (১৮৭৫-৭৭) হেমচন্দ্র বঙ্গোপাধ্যায় রচিত জনপ্রিয় আখ্যান কাব্য। মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত। দুই খন্ডে (১ম খন্ড ১-১১ সর্গ, ২য় খন্ড ১২-১৫ সর্গ) প্রকাশিত হয়। বৃত্রাসুরের স্বর্গজয় ও দধীচির অস্থিনির্মিত বজ্র দ্বারা ইন্দ্রের বৃত্র বধ ও স্বর্গরাজ্য পুনরুদ্ধার এই কাব্রের আখ্যান ভাগ। পৌরাণিক কাহিনির নূতন ব্যাখ্যা ঊনবিংশ শতাব্দীর জীবনজিজ্ঞাসা, অমিত্রাক্ষর ছন্দ্রের ব্যবহার ইত্যাদি। ব্যাপারে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্যে’র অনুসারী। ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই কাব্য অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। বঙ্কিমচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথ এ কাব্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
প্র : তাঁর রচিত এবং সমকালে প্রশংসিত খন্ডকবিতাগুলোর নাম লেখ।
উ : ‘জীবন-সঙ্গীত’ (লংফেলোর ‘The Psalm of life’ এর বঙ্গানুবাদ), ‘ভারতসঙ্গীত’, ‘ভারতবিলাপ’, ‘গঙ্গার উৎপত্তি’, ‘পদ্মের মৃণাল’, ভারত-কাহিনী’, ‘অশোকতরু’, ‘কুলীন কন্যাগণের আক্ষেপ’ ইত্যাদি।
প্র : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কাব্য কি?
উ : হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৮৩৮-১৯০৩) প্রথম কাব্য ‘চিন্তাতরঙ্গিনী’ ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
প্র : হেমচন্দ্রের আখ্যান কাব্য কোনটি?
উ : হেমচন্দ্রের আখ্যান কাব্য ‘বীরবাহু’ ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয্
প্র : হেমচন্দ্রের অন্যান্য কাহিনি ও বর্ণনাপ্রধান কাব্যগুলি কী কী?
উ : হেমচন্দ্রের অন্যান্য কাহিনি ও বর্ণনা প্রধান কাব্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আশাকানন’ (১৮৭৬), ‘ছায়াময়ী’ (১৮৮০), ‘দশমহাবিদ্যা’ (১৮৮২)।
প্র : হেমচন্দ্রের মহাকাব্য কোনটি?
উ : হেমচন্দ্রের মহাকাব্য বৃত্রসংহার (দুই খন্ডে ১৮৭৫ ও ১৮৭৭ সালে প্রকাশিত)।
প্র : ‘চিন্তাতরঙ্গিনী’ কোন্ ঘটনা অবলম্বনে রচিত?
উ : ‘চিন্তাতরঙ্গিনী’ প্রতিবেশী এক বন্ধুর আত্মহত্যার ঘটনা অবলম্বনে রচিত।
প্র : হেমচন্দ্রের আশাকানন কোন্ জাতীয় কাব্য?
উ : হেমচন্দ্রের ‘আশাকানন’ রূপক কাব্য, দশটি কল্পনায়ক কাব্যটি বিন্যস্ত।
প্র : ছায়াময়ী কাব্যটি কার অনুসরণে লেখা?
উ : ‘ছায়াময়ী’ কাব্যটি দান্তের ডিভাইন কমেডিয়ার অনুসরণে লেখা।
প্র : হেমচন্দ্রেরদশমহাবিদ্যা কাব্যটি বিশিষ্ট কেন?
উ : কবি ‘তন্ত্রসারে’ গ্রন্থে উদ্ধৃত ধ্যানমগ্ন থেকে কাল,ি তারা, ষোঢ়শী, ছিন্নমস্তা প্রমুখ দেবীর রূপমূর্তি গ্রহণ করলেও তিনি দেবীর দশটি রূপের মধ্রে মানব সভ্যতার দশটি রূপের মধ্যে মানব সভ্যতার দশটি বিভিন্ন স্তরের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন।
প্র : তাঁর মৃত্যু তারিখ কত?
উ : ২৪শে মে, ১৯০৩।