ব্রাহ্মী লিপি
(অশোক লিপি)
(খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০-১০০)
কুষাণ লিপি
(১০০০-৩০০)
গুপ্ত লিপি
(৪র্থ – ৫ম খ্রী শতক)
I
…………………………
I II III
পূর্বাঞ্চল লিপি
(ষষ্ট শতক)
নাগর পূর্বী বা কুটিল
(৭ম শতাব্দী)
(৭ম শতাব্দী)
দক্ষিণাঞ্চল লিপি
(ষষ্ট শতক)
পলব লিপি
উত্তরাঞ্চল লিপি (৭ম শতক)
তামিল, তেলেগু
কানড়ি
মালয়লাম
(ষষ্ট শতক)
সারদা লিপি
(৭ম শতক)
কাশ্মির ও পাঞ্জাবের
গুরুমুখি প্রভৃতি
ভাষা পরিবারের হিসেবে বাংলা ভাষা সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন ভাষা পরিবার অর্থাৎ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের অর্ন্তভুক্ত। এই পরিবারের দুটি গুচ্ছ হলো- সতম ও কেন্তুম। সতম গুচ্ছের শাখাগুলির মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ শাখা হলো ইন্দো-ইরানীয়। ইন্দো-ইরানীয় মাখার যে উপশাখাটি ভারতবর্ষে প্রবেশ করে তাকে ভারতীয় আর্য ভাষা বলা হয়। এই শাখার প্রাচীন গ্রন্থ বেদ যা খ্রী. পূর্ব ১২০০ অব্দে রচিত বলে মনে করা হয়। বেদের ভাষাকে বলা হয় বৈদিক ভাষা। বৈদিক ভাষা থেকে ক্রমে সংস্কৃত, প্রাকৃত ও পালি ভাষার জন্ম হয়। আর প্রাকৃতের শেষ স্তর অপভ্রংশ-অবহট্ট হয়ে আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষা বাংলা, হিন্দি, অবধী, মারাঠী পাঞ্জাবী ইত্যাদির জন্ম হয়। ভারতীয় আর্যভাষার সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাসকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য (Old Indo-Aryan)
২. মধ্যভারতীয় আর্য (Middle Indo-Aryan)
৩. নব্যভারতীয় আর্য (New Indo-Aryan)
ভারতীয় আর্যভাষার যুগবিভাগ:
যুগ কালগত সীমা যুগের মান নিদর্শন
১. প্রাচীন ভারতীয় আর্য আঃ ১৫০০ খ্রী. পূর্ব থেকে ৬০০ খ্রী. পূর্ব পর্যন্ত বৈদিক ভাষা বা বৈদিক সংস্কৃত ভাষা বেদ, মূলত ঋগে¦দের সংহিতা(মন্ত্র) অংশ।
২. মধ্য ভারতীয় আর্য আঃ ৬০০ খ্রী. পূর্ব থেকে ৯০০ খ্রী. পর্যন্ত প্রাকৃত ভাষা, পালি ভাষা
ক্লাসিক্যাল বা লৌকিক সংস্কৃত ভাষা অশোকের শিলা লিপি, সংস্কৃত নাটকে নারী ও নিম্নশ্রেণির পুরুষ চরিত্রের সংলাপ, প্রাকৃতে ও পালি ভাষায় রচিত যথাক্রমে জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ, প্রাকৃতে রচিত মহাকাব্য ; কালিদাস রচিত সংস্কৃত কাব্য নাটকাদি
৩. নব্য ভারতীয় আর্য আঃ ৯০০ খ্রী. থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বাংলা, হিন্দি, অবধি, মারাঠী, পাঞ্জাবী
বাংলা সাহিত্যকে তিনটি যুগে বিভক্ত করা হয়। বাংলা ভাষায় রচিত সাহিত্যের ভাষার নমুনাকে বিবেচনায় নিয়ে মূলত এই শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে। বিভাগগুলো হলো-
এক. প্রাচীনযুগ (১২০১-১৩৫০)
দুই. মধ্যযুগ (১৩৫০-১৮০০)
তিন. আধুনিক যুগ (১৮০১-বর্তমান পর্যন্ত)
অনেকে মনে করেন ১২০১-১৩৫০ পর্যন্ত সময়কে অন্ধকার যুগ হিসেব বিবেচনা করা উচিত। অন্ধকার যুগ বলা হয় এই জন্য যে ঐ সময়ে কোন সাহিত্যের নিদর্শন পাওয়া যায় নি। কিন্তু পরবর্তীকালে ঐ সময়কালে রচিত কিছু সাহিত্যের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। কাজেই অনেকে মনে করেন প্রকৃতপক্ষে অন্ধকারযুগ বলতে কিছু নেই।